কবিতা- ভানুর কীর্তি

ভানুর কীর্তি
– কাজল দাস

 

 

চাইলে তুমি তোমারে লইয়া চাঁন্দে দিমু পারি,
লক্ষ্মী সোনা রাগ কইরা মুখ কইরো না হাড়ি।
কি চাও কও গিন্নি তুমি টাকা- কড়ি-সোনা,
আজকে না হয় ভিক্টোরিয়ায়, ঘুরুম-নে দুই জনা
ফুচকা, চানা, বাদাম লইয়া গড়ের মাঠে যামু,
হরি দাসের বুলবুল ভাজা পরাণ ভইরা খামু।

ও গিন্নী, আমি কি তোমার এতোখানি পর,
কখনো তুমি বর্ষা নামাও, কখনো তোলো ঝড়।
থুরি থুক্কি-আমারই দোষ, ঝগড়ুটে তুমি নও,
এই কান মল্লাম, নাক মল্লাম, লক্ষীটি কথা কও।
দেখ চাঁদ উঠ্সে ফুল ফুটসে জ্বালাইওনা আর,
মাইনা পাইলে গড়ায় দিমু গজমতির হার।

আজকে না হয় একটু খানি হইয়া গেছে দেরি,
তার জন্য এমন কইরা মাথায় তুলবা বাড়ি?
কালকে আমি য্যামনে পারি তাড়াতাড়ি আমু,
শুধু মলে ক্যান, মল মূত্র যেখানে কইবা যামু।
কি কইলা যাইবা না, ঠিক শুনতাসি কানে?
আর যে কি কপালে আছে, কি কমু কে জানে?

ঘাট হইসে আমি চললাম, ত্যাল দিমুনা আর,
কথায় কথায় বাপের বাড়ি যাওনের কি দরকার।
কি কইলা? বাপ তুইল্যা কথা কইলেই দোষ,
আলবাত কমু, ভাবছ তুমি চইলা করুম আপসোস?
ইসসসস, এতো বছর ধইরা শুধু একই কথা কও,
যামু যামু করো ক্যান? যাইতে হইলে যাও।

কাম সারছে, করো কি গিন্নী, কিসের এতো তাড়া?
এতো বোঝো মালতি তুমি বোঝ না মশকরা।
ঘাট হইসে তুমি জিতসো, আমি গেছি হাইরা,
লক্ষ্মী আমার সোনা কইলাম, যাইওনা আমায় ছাইড়া।
তোমারে ছাইরা ইহলোকে কেমন কইরা থাকি।
এতো সহজে যাইতে দিমু মগের মুল্লুক না কি?

Loading

Leave A Comment